রাসায়নিক সারের কালোবাজারী রুখতে সারের দোকানে অভিযান কৃষি দপ্তরের

22nd July 2020 5:07 pm বাঁকুড়া
রাসায়নিক সারের কালোবাজারী রুখতে সারের দোকানে অভিযান কৃষি দপ্তরের


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : আধার কার্ড ছাড়াই মিলছে রাসায়নিক সার,রাসায়নিক সারের কালোবাজারির রমরমা বাঁকুড়ার মেজিয়ায়। অভিযোগ হাতে পেয়ে কালোবাজারি রুখতে পুলিশ কে সাথে নিয়ে  সারের দোকানগুলিতে হানা ব্লক প্রশাসন ও কৃষি দপ্তরের আধিকারিকদের। কৃষিকাজের মরশুমে রাসায়নিক সারে কালোবাজারি করার অভিযোগ উঠল বাঁকুড়ার মেজিয়ায়। স্থানীয় কৃষকদের অভিযোগ মেজিয়া এলাকার সবকটি রাসায়নিক  সারের দোকানে থেকে রাসায়নিক সার কিনতে গেলে বস্তায় লেখা ন্যায্য দামের থেকে বস্তা পিছু সারের এর উপর দিতে হচ্ছে বাড়তি ৭০ টাকা থেকে  ১২০ টাকা পর্যন্ত। অথচ  কৃষকরা দোকানদারের কাছে বিল চাইলে মিলছে বস্তার উপরে লেখা সরকারি দামের বিল। এর পরই কৃষকরা বুঝতে পারেন কালোবাজারি চালাচ্ছে একচক্র। দোকানদারকে কৃষকরা চড়া দামের বিষয়ে প্রশ্ন করলে দোকানদারের তরফে মিলছে বাজে ব্যবহার। শুধুমাত্র এক দুটি দোকান নয় মেজিয়া এলাকায় প্রায়  সবকটি দোকানের একই ছবি। ফলে ক্ষুদ্র চাষীরা বাধ্য হয়েই চড়া দামে সার কিনতে বাধ্য হচ্ছেন সকলেই। মৌখিকভাবে কৃষকদের সেই অভিযোগ পৌঁছায় স্থানীয় মেজিয়া ব্লক প্রশাসনে। মেজিয়ার সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক অনিরুদ্ধ বন্দোপাধ্যায়  কৃষকদের সেই অভিযোগ পেয়ে অভিযোগ খতিয়ে দেখার  ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। মেজিয়ার যুগ্ম সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের নেতৃত্ব মেজিয়া ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা ও পুলিশ কে সাথে নিয়ে কৃষকদের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে  সারের দোকান গুলিতে হানা দিলেন তারা। কথা বললেন সারের দোকান মালিক গুলির সঙ্গে।কৃষকদের অভিযোগ প্রমাণিত হলে  দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস প্রশাসনের।যদিও কালোবাজারির কথা অস্বীকার করেছে রাসায়নিক সারের দোকান মালিকরা।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।